NET/SET UPDATES
NET পরীক্ষা কি ?
নেট (NET) হল ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (National Eligibility Test)। এই পরীক্ষায় পাশ করার পর একজন পরীক্ষার্থী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করে (এসিস্ট্যান্ট প্রফেসসর / লেকচারার) এবং গবেষণা কাজে (Ph. D) প্রবেশের ক্ষেত্রে সুযোগ থাকে। এই পরীক্ষা সাধারণত সিবিটি (computer based test) এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
নেট পরীক্ষার দুটি দিক আছে।
1. Assistant Professor. 2. JRF(Junior Research Fellowship)
অর্থাৎ কেউ নেট পরীক্ষা পাশ করলে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। নেট সার্টিফিকেট এর বৈধ্যতা সারাজীবন থাকে এবং এই সার্টিফিকেট দেখিয়ে সারা ভারতের মধ্যে যে কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য আবেদন করা যায়।
JRF হল জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ অর্থাৎ কোন অসংরক্ষিত পরীক্ষার্থী JRF এর জন্য আবেদন করে, তাহলে তাঁর বয়স 30 বছরের মধ্যে হবে। তবে পরীক্ষার্থীদের (SC, ST, OBC-A, OBC-B, PH.) ক্ষেত্রে JRF এর বয়সের উর্ধ্বসীমা হল 35 বছর। সেটা অবশ্য কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত সংরক্ষিত হবে।
JRF প্রদান করা হয় গবেষণা করার জন্য। কোন পরীক্ষার্থী JRF পেলে, তাঁকে JRF সার্টিফিকেট পাওয়ার 3 বছরের মধ্যে পি. এইচ. ডি (Ph. D) তে ভর্তি হতে হবে। এই গবেষণা করার জন্য ইউ জি সি থেকে ফেলোশিপ হিসেবে অর্থ পাওয়া যায়। জে আর এফ (JRF) পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণার সুযোগ না পেলে, ফেলোশিপের বৈধ্যতা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু JRF এর জন্য আকাডেমিক ক্ষেত্রে যে বর্ধিত নম্বর থাকে, সেটা পাওয়া যাবে।
নেট পরীক্ষা বছরে দুই বার হয়। প্রত্যেক বছরের জুন এবং ডিসেম্বর মাসে নেট পরীক্ষা হয়।
কোনো ছাত্রছাত্রী ওপেন বা ডিসটান্স বিশ্ববিদ্যালয় (Open or Distance University) থেকে এম. এ করে থাকে, তাহলে সে নেট/সেট পরীক্ষাতে বসতে পারবে। খুব সম্প্রতি UGC বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করে ঘোষণা করেছে Regular, Open and Distance University থেকে পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের সমান গুরুত্ব থাকবে। যদিও এই নিয়ম আগেও ছিল। তবু অনেকের মনে এই বিষয়ে সন্দেহ ছিল। তাই UGC বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে দিয়েছে।
নেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা ?
নেট পরীক্ষাতে বসতে গেলে যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিদিষ্ট বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর (এম. এ) স্তরে অসংরক্ষিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে 55% শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন। আর সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এম. এ তে 50% নম্বর থাকলে নেট পরীক্ষায় বসা যাবে।
- নেট পরীক্ষায় বসার জন্য বয়সের কোন উর্ধ্বসীমা নেই । শুধুমাত্র জে. আর. এফ পেতে গেলে পরীক্ষার্থীকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষত্রে 35 বছর।
- কোনো পরীক্ষার্থী এম. এ চলাকালীন সময়ে নেট পরীক্ষা দিতে পারে। যদি সে নেট পাশ করে, তাহলে তাকে নেট এর রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে 55% নম্বর পেয়ে এম. এ পাশ করতে হবে।
সমগ্ৰ ভারত থেকে নেট পরীক্ষায় শুধুমাত্র এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর 6% কে এবং জে. আর. এফ মাত্র 0.6% পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ।
আপনি যদি কোন ওপেন বা ডিসটান্স বিশ্ববিদ্যালয় (Open or Distance University) থেকে এম. এ করে থাকেন, তাহলেও নেট/সেট পরীক্ষা দিতে পারবেন।
নেট পরীক্ষার ধরন
নেট পরীক্ষার দুটি পেপার থাকে।
1) প্রথম পত্র (PAPER 1) – Teaching and Research Aptitude. মোট 10 টি ইউনিট থাকে। এই পেপার এ মোট 50টি প্রশ্ন থাকে। প্রত্যেক প্রশ্নের মান – 2। মোট নম্বর – 100.
2) দ্বিতীয় পত্র (PAPER – 2) হল নিজের নিজের এম. এ এর বিষয়। পেপারে – 2 তে 10টি ইউনিট থাকে। এই পেপার এ 100টি প্রশ্ন আসে। মোট নম্বর – 200.
নেট পরীক্ষা মোট 300 নম্বরে হয়।
প্রশ্নের ভাষা হল – ইংরেজি ও হিন্দি।
কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই.
Paper | Total No. of Questions | Full Marks |
PAPER 1 | 50 | 100 |
PAPER 2 | 100 | 200 |
সেট (SET) হল স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (STATE ELIGIBILITY TEST) । সেট বা সিলেট হল নির্দিষ্ট রাজ্যের নেটের সমতুল্য একটি পরীক্ষা। সেই সার্টিফিকেট শুধুমাত্র সেই রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। একটি রাজ্যের সেটে’র সার্টিফিকেট দেখিয়ে অন্য কোন রাজ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন প্রত্যেক বছর সেট পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে। নেট এবং সেট এর সিলেবাস, পরীক্ষার ধরন, যোগ্যতা একই। কিন্তু বেশ কিছু পার্থক্যও রয়েছে।
- সেট এর সার্টিফিকেট শুধুমাত্র সেই রাজ্যের মধ্যেই বৈধ।
- সেট পরীক্ষায় জে. আর. এফ (JRF) নেই।
- সেট পাশের সার্টিফিকেট সারাজীবনের জন্য বৈধ।
- সেট পরীক্ষার প্রশ্ন পেপার 1 এবং পেপার 2 বাংলা এবং ইংরেজিতে থাকে।
- সেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তুলনামূলক অনেকটাই সোজা থাকে।
- পরীক্ষাতে বসার যোগ্যতা একই।